অকার্যকর লকডাউনে দেশ জেরবার, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। কিন্তু তা বোঝার মতো জ্ঞানবুদ্ধি প্রশাসনে তেমন কারও নেই। জনগণ দেশের মালিক, মালিককে সম্মান করতে হয় তা সেবকের অনেকেই ভুলে গেছে। আমলাতন্ত্রের প্রাদুর্ভাবে রাজনীতি প্রায় শূন্যের কোঠায়। সমাজের কোথাও এখন আর রাজনীতির সুবাতাস বয় না। অনেকটাই জোর যার মুল্লুক তার অবস্থা। এর মধ্যে দম বন্ধ করে চার দেয়ালের ভিতরে পড়ে আছি। আইয়ুব-ইয়াহিয়ার আমলে হাত-পা ছুড়ে চিৎকার করতাম, পূর্ব পাকিস্তান একটা বৃহত্তর কারাগার। সেটাই দেখছি লকডাউনের দিনগুলোয়। সাধারণ মানুষের সে যে কী কষ্ট তা বলার মতো নয়। কত সোনার সংসারে কাজকর্ম না থাকায় শুধু হাহাকার আর হাহাকার। পেটের জ্বালা যে কী যারা না জ্বলেছে তাদের শত চেষ্টা করেও বোঝানো যাবে না। ‘কি যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে’। যে সাপের দংশনে দংশিত হয়নি তাকে বিষাক্ত সাপের দংশনের যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না। যে নারী মা হয়নি তাকে মাতৃত্বের বেদনা বোঝানো যায় না। গরিবের দুঃখ গরিবের যন্ত্রণা গরিবের হাসিকান্না সে যে কত মধুময় হৃদয়স্পর্শী সে শুধু গরিবই বোঝে। দারিদ্র্য যাকে স্পর্শ করেনি তাদের ওসব বোঝার সুযোগ কোথায়? যাক, তবু শেষ পর্যন্ত সবকিছু খুলে দেওয়া হলো। দেখা যাক আল্লাহ রব্বুল আলামিন কী করেন। অবশেষে আল্লাহর ওপর ভরসা করে লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে শত কোটি অভিনন্দন। এখন প্রয়োজন হবে করোনার টিকা, যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা।