রংপুরে কারা কর্মকর্তাকে আটকিয়ে প্রতারণা, ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তার

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেজে সাবেক কারা কর্মকর্তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আটকিয়ে অভিনব প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম সরকার ওরফে অনামিকাকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর পিবিআই। অনামিকা দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ি গ্রামের শাহজাহান সরকারের মেয়ে। গতকাল দুপুরে রংপুর পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান, গত ২রা আগস্ট রংপুর নগরীর সিও বাজারের বাসা থেকে মোটরসাইকেলযোগে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেননি রংপুর কারাগারের সাবেক সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর আনজু মিয়া (৫১)। এ ঘটনায় আনজুর স্ত্রী রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ৩রা আগস্ট পিবিআইয়ের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিখোঁজ আনজু মিয়াকে রংপুর নগরীর ডিসির মোড়ে অবস্থিত ‘সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্র’ থেকে উদ্ধার করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে আনজু পিবিআইকে জানান, গত ৬ মাস আগে বিমানে ভ্রমণের সময় অনামিকার সঙ্গে পরিচয় হয় আনজুর। এ সময় অনামিকা নিজেকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে আনজুর নম্বর কৌশলে নেন। এরপর ২রা আগস্ট সকালে অনামিকা ফোনে আনজুকে জিলা স্কুলের গেটে আসতে বলে। সেখানে একটি নোহা গাড়িতে বসে থাকা অনামিকাকে দেখে আনজু এগিয়ে গেলে ২-৩ জন অপরিচিত ব্যক্তি তাকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এরপর আনজুর দেহ তল্লাশি করে নগদ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা এবং হাতঘড়ি, স্বর্ণের আংটি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ বিষয়ে আনজু আটককারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকার অনুরোধে আনজু ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকার ভাই হওয়ার কারণে অনামিকার অনুরোধে তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এরপর জব্দকৃত টাকা ও স্বর্ণের জিনিসপত্র অনামিকা নিয়ে বাকি কাপড়-চোপড় ও আনজুর মোটরসাইকেল তার অন্য ভাইয়েরা এসে নিয়ে যাবে বলে সটকে পড়ে। এরইমধ্যে নিরাময় কেন্দ্র থেকে আনজুর ডোপ টেস্টও করা হয়। ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত’র কোনো আলামত না পাওয়া গেলেও আনজুকে তারা আটকে রাখে। আনজুকে উদ্ধারের পর পিবিআইয়ের সদস্যরা দিনাজপুর থেকে তাসনিম সরকার ওরফে অনামিকাকে গ্রেপ্তার করে। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, কথিত নারী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতারক অনামিকা সরকার ও অন্য সদস্যরা ছদ্মবেশে নিত্য নতুন প্রতারণা করে মানুষকে ঠকিয়ে থাকে। এদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে। এ মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত অনামিকাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us