শরণখোলায় পানিবন্দি ৬০ হাজার মানুষ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত স্লুুইস গেটের কারণে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় উপজেলার ৬০ হাজারের বেশি মানুষ এখনও পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ফসলের ক্ষেত, মাঠ, পুকুর, রাস্তা-ঘাট, এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে অপরিকল্পিত ও অপর্যাপ্ত স্লুইস গেটের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উপকূল রক্ষাবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (সিআইপি) আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছে চায়নার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নির্মিত বাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইস গেট রাখা হয়নি। এমনকি যেসব স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছে তা অপরিকল্পিত ও আগের আকারের চেয়ে ছোট। এ অবস্থায় বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে গত  টানা ৪ দিনের ভারীবর্ষণে শরণখোলা উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। কিন্তু স্ল্লুইস  গেটগুলো দিয়ে পর্যাপ্ত পানি নামতে না পারায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ৭ দিনেও পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় রান্না-বান্নাসহ মানুষ দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন।এছাড়া আমনের বীজতলা, রোপা আউশ এবং সবজিসহ অন্যান্য  মৌসুমি ফসল শতভাগই পানির নিচে তলিয়ে যায়। ভেসে গেছে কয়েক হাজার মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ। সরকারি হিসাবে কৃষি ও মৎস্যখাতে ক্ষতির পরিমাণ ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে জানা গেছে। এছাড়া রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোগত ক্ষতির হিসাব  প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৌদ্ধ শরণখোলায় পরিদর্শনে এলে তার কাছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানিবন্দি শত শত মানুষ দ্রুত পানি নিষ্কাশন ও পর্যাপ্ত গেট নির্মাণের দাবি জানান। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, অতিবৃষ্টিতে বর্তমানে শরণখোলায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে একটি সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে। সুপারিশগুলো জেলা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে একনেকের সভায় উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে একটি সুপারিশ ইতিমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, নির্মাণাধীন  বেড়িবাঁধের স্লুুইস গেটগুলো আগের তুলনায় অনেক ছোট এবং অপর্যাপ্ত। তাই একাধিক লকগেট এবং কমপক্ষে আরও সাতটি বড় গেট নির্মাণ করা হলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us