‘মুজাহিদ ভাই, চলেন আফগান যাই’, এটি দেশীয় উগ্রবাদী ও জঙ্গি সংগঠনের সাম্প্রতিক আনলাইন প্রচারণার অংশ বিশেষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রবাদীরা এভাবে আফগানিস্তানে তালেবান উত্থানে খুশি হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে, তালেবানদের প্রশংসা করছে। মূলত তালেবানের উত্থানে দেশের জঙ্গি সংগঠন ও উগ্রাবাদীদের মধ্যে একধরনের উৎসব উৎসব ভাব দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী। জঙ্গি সংগঠন ও জঙ্গিদের অনলাইন ও অফলাইনে সাংগঠনিক আলাপে এখন আফগান প্রসঙ্গই বেশি থাকে।
তালেবানের সঙ্গে সাম্প্রতিক চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে। তালেবানরাও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাদের এই নীতির পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ইতিমধ্যে তালেবানরা ঘোষণা দিয়েছে, আফগানিস্তানের জমি ব্যবহার করে কেউ অন্য কোন রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে পারবে না। তালেবানদের এই নীতি অব্যাহত থাকলে, দেশে জঙ্গি সংগঠনগুলোর ধ্বংসাত্মক কাজ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও মনে করেন তারা। তবে বাংলাদেশ এখনই তালেবানদের সঙ্গে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্কে যাবে না। বাংলাদেশ বর্তমান বৈধ আফগান সরকারের সঙ্গেই কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।