ফকির আলমগীরকে নিয়ে এভাবে লিখতে হবে ভাবিনি। ওর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই ওকে নিয়ে লেখার বিষয়গুলো মাথায় ঘুরছিল। সেটা কেবল তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়, একজন সাহসী মানুষের জীবনের কথা লেখার জন্য। তবে কীভাবে লিখব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। লেখার কথা মনে হতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল শহীদ মিনারে শুয়ে থাকা তার নিথর দেহের ছবি। শ্রাবণের ঘোর বারিধারার মধ্যেও তার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্য এসেছিলেন রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক জগতের নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন সংগঠন। কিছু ব্যতিক্রম যে চোখে পড়েনি তা নয়। কারণ একজন মানুষ, তিনি যত বড়ই হন, সবাই তাকে এক চোখে দেখবে সেটা ভাবা বাতুলতা। বরং শহীদ মিনারে তার ওই শ্রদ্ধা জানানো অনুষ্ঠান সম্পর্কে যে কথাটা ভাবছিলাম, তা হলো করোনার কারণে অব্যাহত লকডাউন না থাকলে শ্রাবণের বারিধারা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ আসত তাকে বিদায় জানাতে। এর মধ্যে থাকত অতি সাধারণ মানুষ, যারা তাকে চিনত তাদেরই মানুষ হিসেবে। তাদের জীবন সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফকির আলমগীর যেসব গান গাইত, সেসব গান তাদের জীবনকে অর্থবহ করে তুলত। করোনার লকডাউন সে সুযোগ মানুষকে দেয়নি। তবে ফকিরের গানের মধ্য দিয়ে সে বরং ওইসব মানুষের কাছে আরও জীবন্ত হয়ে থাকবে।