“গলাধঃকরণ ক্ষমতার চেয়ে কামড় বড় হওয়া উচিত নয়”
আধুনিক মার্কেটিং শাস্ত্রে পারসনকে(person) পণ্যের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে গণ্য করা হয়। পণ্যের দশটি অস্তিত্বের একটি হচ্ছে ‘পারসন’ । মানুষকে পণ্য বলতে যাদের সংকোচ ছিল, পন্যের বিভিন্ন নামকরণের মাধ্যমে মানুষকে পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টা জায়েজ হয়ে গেছে। পণ্য হচ্ছে সমস্যার ‘সমাধান’। এটাকে বলা হয় ‘টোটাল অফারিং’ । আজকাল বলা হচ্ছে পণ্য হচ্ছে ‘এক্সপেরিয়েন্স’ বা অভিজ্ঞতা। কর্পোরেট ব্র্যান্ড এবং পার্সোনাল ব্র্যান্ডের মধ্যে অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে। পার্সোনাল ব্র্যান্ড হচ্ছে- আপনি কে? আপনার অবস্থান কি? আপনি কী মূল্যবোধ(value) ধারণ করেন? এবং কিভাবে আপনি আপনার মূল্যবোধকে প্রকাশ করেন? কোম্পানি যেমনটি তার প্রতিযোগী কোম্পানির বিপরীতে তার কোম্পানির ভ্যালু পজিশনকে তুলে ধরার জন্য ব্র্যান্ডকে ব্যবহার করে, পার্সোনাল ব্র্যান্ডও ব্যক্তির জন্য একই কাজ করে। পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং ক্লায়েন্টের নিকট ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের পরিচিতি তুলে ধরতে সাহায্য করে। প্রত্যেক মানুষের নিজের একটা গল্প থাকে; লক্ষ্য, নৈপুণ্য এবং পারিপার্শ্বিকতা থাকে। যার কারনে বলা হয়, “personal branding is one’s story”। সাইবার যুগে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং ‘থাকা ভালো’, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে, এটা এখন ‘প্রত্যাশিত’।