করোনা মহামারিকালে আরেকটি ঈদ চলে গেল। স্বাস্থ্য সংকট আর অর্থনৈতিক দুরবস্থায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে আসায় এবার ঈদুল আজহার অর্থনীতি ছিল প্রায় স্থবির, যার প্রভাব পড়েছে কোরবানির বাজারে। ২০১৬ সালের পর এবার সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানিযোগ্য ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৫২৩টি পশু অবিক্রীত থেকে গেছে। বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারি-ব্যাপারিরা।
মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে চামড়া খাত, ক্ষুদ্র ব্যবসা, ফ্রিজ, মসলা, পোশাক, পরিবহন, পর্যটনসহ সংশ্নিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়ও। বিশ্নেষকরা বলছেন, করোনাকালে প্রায় দুই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছেন। যারা গরু কোরবানি দিতেন, এবার তারা খাসি দিয়েছেন। যিনি লাখ টাকার গরু কিনতেন, এবার তিনি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কোরবানি দিয়েছেন।