তখন কেবল মাঠ পর্যায়ে দু তিনজন ভলান্টিয়ার নিয়ে কাজ করছি। এই মাঠে বসে, ওই উঠোনের কোণায়, সেই গাছতলায় বসে বা দাঁড়িয়ে অভিভাবক ও কিশোরীদের মাঝে যৌন হয়রানি,বাল্যবিয়ে এবং মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলি। কখনোবা ঘা ঘুতো, দু চারটে বাজে কথা শুনি, কখনোবা ভালবাসা স্নেহ পাই। এক সভা শেষে হঠাৎ পাশের বস্তিতে বেড়ে ওঠা কিশোরী সাথী (ছদ্মনাম) খুব ভয়ে-ভয়ে, লজ্জায়-লজ্জায় বলল, আপু আমাদের স্কুলের এক স্যার ক্লাশে এসেই বলেন, আমাকে দেখে কারো ভয় লাগলে বুকের বোতাম খুলে বুকু থুথু দিবা। কথাটা খুব নোংরা করে বলেন। শুনলে আমাদের লজ্জা লাগে তাই ওই স্যারের ক্লাশ কম করি, আবার ক্লাশে মাঝে মাঝে আমাদের পিঠে ,আর হাতের মাশেলে হাত দেন, বেত থাকলেও পিঠে হাত দিয়ে মারেন খুব খারাপ লাগে এভাবে সবার গায়ে হাত দিলে। আমার এক বান্ধবীতো এই স্কুলই ছেড়ে দিছে।