২০০৭ সালের ১৬ জুলাই। মাঝরাত থেকেই অঝর ধারায় বৃষ্টি। প্রকৃতি যেন কান্নায় কাতর। ১৫ জুলাই সন্ধ্যার পরই ধানমন্ডির সড়কগুলোয় ব্যারিকেড দেওয়া শুরু হয়। রাতেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। ভোররাতে বুটের আওয়াজে জেগে ওঠে ‘সুধা সদন’। বাড়ির মালিক পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া অসুস্থ। এর মধ্যেই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করতে আসে যৌথ বাহিনী। শেখ হাসিনা ছিলেন ভয়হীন, স্বাভাবিক। গ্রেফতার প্রক্রিয়া শেষ করে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়। সকাল ৮টারও আগে মহানগর হাকিম কামরুন্নাহারের আদালতে হাজির করা হয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে। ১৩ জুন ঢাকার গুলশান থানায় ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরীর করা একটি তথাকথিত চাঁদাবাজির মামলা দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে জাতীয় সংসদে হুইপদের জন্য নির্ধারিত একটি বাসায় রাখা হয়। সরকার ওই বাড়িটিকে সাবজেল ঘোষণা করে। এখানেই দীর্ঘ ১১ মাস কাটান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ২০০৮ সালের ১১ জুন শেখ হাসিনা কারামুক্ত হন। গতকাল (শুক্রবার) তাঁর কারাবরণের ১৪ বছর পূর্তি হলো। ১৪ বছর পর ওই ঘটনার স্মৃতি সামনে এলো কিছু প্রশ্ন নিয়ে। কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা জানি, কিছু জানি না। কেন সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল? দুর্নীতির জন্য নাকি বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য?