টাইব্রেকার শেষ হওয়ার পরই রবের্তো মানচিনি যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কী করবেন। উচ্ছ্বাসে ছুটোছুটি, সামনে যাকে পাওয়া যায় তাকে জড়িয়ে ধরা, ইতালির পতাকা গায়ে জড়িয়ে সদর্প বিচরণ…. কত কী! আবেগের চিরায়ত প্রকাশও দেখা গেল, যখন হৃদয়ের অনুভূতি ফুটে ওঠে চোখে। জয়ের পর ইতালি কোচের চোখ অশ্রসজল। মুখের হাসিই বলে দিচ্ছিল, এটা সুখের কান্না। ইতালির ফুটবলকে তলানি থেকে শীর্ষে তোলার তৃপ্তি জল!
২০১৮ সালের মে মাসে যখন তিনি কোচের দায়িত্ব নেন, ইতালিয়ান ফুটবল তখন ডুবে আছে হতাশার আঁধারে। চার বার বিশ্বসেরার সাফল্যে রাঙা দেশটিই ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবার খেলতে পারেনি বিশ্বকাপে। বলা হচ্ছিল, ইতালির ফুটবল ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়। সেই দুঃসময়েই হাল ধরে মানচিনি দলকে এগিয়ে নিলেন আলোর উৎসের দিকে।