প্রায় তিনশ বছরের পুরনো পাকা ভবন, যার মেঝের নিচে উপুড় করে বসানো ছিল পোড়া মাটির কলস, কালের পরিক্রমায় তা এখন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
মেঝে ঠাণ্ডা রাখাসহ বহুমুখী উপযোগিতার কারণে এভাবে মাটির কলস ব্যবহারে এই নির্মাণ শৈলী অনুসরণ করাকে ‘বিশেষ স্থাপত্য রীতি’ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বন্দর নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় ১১৮ নজু মিয়া লেনে হাজী শরিয়ত উল্ল্যাহ সওদাগরের তৈরি এক তলা বাড়িটির মেঝের নিচেই পাওয়া গেছে সারি সারি এমন পোড়া মাটির তৈরি পাত্র। তিন শতাব্দী আগে পাথরঘাটাঘেষে প্রবাহিত হত কর্ণফুলী নদী। আর জমিদার শরিয়ত উল্ল্যাহ সওদাগরের দুটি সরের (কাঠের তৈরি পাল তোলা মালবাহী) জাহাজ ছিল। তিনি রেঙ্গুন (মিয়ানমার) থেকে নৌ পথে পণ্য আনা নেওয়ার ব্যবসা করতেন। তার উত্তরসূরীদের দাবি, রেঙ্গুন থেকেই শ্রমিক ও পোড়া মাটির এসব কলস এনে ভবন নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর ইতিমধ্যে এসব মাটির কলস সংগ্রহে উদ্যোগ নিয়েছে। পুরনো ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয় সপ্তাহ দুয়েক আগে। ধবার প্রথম ভবনের মেঝের নিচে মাটির কলসের সন্ধান মেলে।