ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকজন ক্যান্সার রোগী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। এই তিন শ্রেণির জীবন যেন নিজ নিজ শরীরের সঙ্গে লড়াই। এখানে কথা আছে, প্রত্যেকে তার এই সংগ্রামে পাশে পাচ্ছেন নিকটজনকে, কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের পাশে কেউ নেই। তার এই সংগ্রাম আজীবন একা। যখনই বুঝতে পারছে, সে তৃতীয় লিঙ্গের একজন, তখনই ভয়, লজ্জা, আড়ষ্টতা ও হীনম্মন্যতা তার ভেতরে বাসা বাঁধে। সে বুঝতে পারে, সে মূল জনস্রোতের কেউ নয়। পরিবারের কাছেও সে দায়। আর তাই সেখান থেকে পলায়নে মেলে তার মুক্তি।
এ জীবনটা তারা তালি বাজিয়ে, রংচং মেখে কোমর দুলিয়ে কাটিয়ে দেয়। আমরা যারা 'নরমাল' মানুষ তাদের কাছে নানা ফন্দি-ফিকির করে তারা টাকা-পয়সা চেয়ে নেয়, আর আমরা হই চরম বিরক্ত। তাদের জীবনের গল্প শোনার পর আমার মনে হয়েছিল, তারা আমাদের সঙ্গে রাস্তাঘাটে যে আচরণ করে, তা মূলত খুবই মৃদু খারাপ আচরণ। তাদের তো আসলে এ পুরো পৃথিবীর ওপরেই ঘৃণা জন্মানোর কথা! সম্মান, সমানাধিকার, উত্তরাধিকার- এসব তাদের প্রাপ্য নয় বলেই তারা বেড়ে ওঠে।