আগেও কোথাও কোথাও লিখেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ওঠার সময় একটা ইন্টারভিউ দিতে হয়েছিল। এক পাতি ছাত্রনেতার কাছে। সংলাপগুলো এ রকম, ‘এই প্যান্টে চলবে না। জিন্সের প্যান্ট নেই?’
‘আছে ভাই।’
‘আর এই চুলেও হবে না।’
‘চুলে কী সমস্যা ভাই?’
‘এই তেল দেওয়া আঁচড়ানো চুল বদলাতে হবে। দুটি স্টাইল আছে। একটি হচ্ছে সাইড পাতলা, আর্মি স্টাইল। আরেকটি লম্বা চুল, পাংকু স্টাইল।’
‘পাংকুটা পারব না, আর্মি স্টাইলই ভালো।’
‘আর এভাবে দাঁড়ালে হবে না। বুক থাকতে হবে ফোলা।’
‘বুক ফুলাব।’
কাজেই জিন্সের প্যান্ট চাপিয়ে, চুল যথাসাধ্য আর্মি স্টাইল বানিয়ে, বুক ফুলিয়ে এক সন্ধ্যায় হলে উঠে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর ঠিক আমারই মতো জিন্স-চুল-বুকের শর্ত মানা আরেকজন এসে হাজির। তাতেও সমস্যা ছিল না। হলের সিঙ্গল সিটে প্রথম বর্ষে দুজন করে থাকতে হয় তা তখন ভালোমতো জানি। সমস্যা দেখা দিল যখন তৃতীয় আরেকজন এসে অবাক হয়ে আমাদের দুজনকে অবাক চোখে দেখতে থাকল। আমরাও তাকে দেখতে থাকলাম। দেখাদেখি শেষে জানা গেল, এটা তারই সিট। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক গ্রুপ এখানে দুজনকে তুলে দিয়েছে।