ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে যে ডিসকোর্স সমাজে চালু আছে এবং ঐতিহাসিকভাবেও যা খানিকটা সত্য, তাতে সাম্প্রদায়িক টানাপড়েনের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু এটাও সত্য, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে সৃষ্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। পরস্পর বিপরীত এই দুটি আদর্শিক আলোচনার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রায় প্রতিবছর ঘুরেফিরে সাম্প্রদায়িক টানাপড়েনের কথাটিই মুখ্য করে তোলা হয়। আসলে প্রধান আলোচনা হওয়া উচিত, সাম্প্রদায়িক টানাপড়েনের মধ্যে জন্ম নিয়েও কী করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অসাম্প্রদায়িকতা চর্চার কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠতে পারল এবং কিভাবে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার ভিত্তিতে সৃষ্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখল। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরও এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে প্রগতিমুখী চেতনার বাতিঘর যে হয়ে রইল, এর পেছনে কি কোনোই আদর্শিক শক্তি নেই?