২৩ জুন ছিল আওয়ামী লীগের ৭২ -তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাংলাদেশের প্রাচীনতম দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুই দিন আগে এক অসাধারণ কাজ করলেন দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ। বঙ্গবন্ধুর শিষ্য এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ তাঁর সব সম্পত্তি ‘তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশন’-এ দান করার ঘোষণা দেন। এ ফাউন্ডেশনটি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করছে। এ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, শিক্ষাবৃত্তিসহ নানা মানবিক কার্যক্রম। তোফায়েল আহমেদের এই ত্যাগ নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগের জন্মদিনে একটি বড় প্রাপ্তি। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে পড়ল ১৯৯৪ সালের কথা। ’৯৪-এর ১৪ আগস্ট বাংলাদেশের ’৭৫-পরবর্তী রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল দিন। ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শোকের দিন। জাতীয় শোক দিবস। জাতীয় শোক দিবসের আগের দিন জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ত্যাগের এক অসাধারণ নজির স্থাপন করেছিলেন। ৩২ নম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ তাঁরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এ দান করেন। পিতা-মাতা, ভাই এবং নিকটাত্মীয় হারানো বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সেদিন প্রমাণ করেছিলেন পার্থিব সম্পদের প্রতি তাঁদের কোনো লোভ নেই। তাঁরা শুধু দিতেই জানেন। যা জাতির পিতা তাঁদের শিখিয়েছেন। জাতির পিতার রাজনীতির পুরোটাই ছিল ত্যাগের। এ দেশ, এ দেশের মানুষের জন্য তিনি দিনের পর দিন কারাগারে কাটিয়েছেন। জীবন দিয়েছেন এই পবিত্র জন্মভূমির জন্য। জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন রাজনীতি মানেই হলো ত্যাগ।