একটা মেয়ে যখন জন্ম নেয় তখনই তার জীবনের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। তার যুদ্ধ হচ্ছে পুরো সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার মাকে কথা শুনতে হয় কন্যাশিশু জন্ম দেওয়ার জন্য। নিজের পরিবার এমনকি তার স্বামীও মাঝেমধ্যে কথা শোনায় তাকে। অন্যদিকে গ্রামেগঞ্জের মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এখনো আমাদের দেশে বহু জায়গায় বাল্যবিবাহের প্রথা রয়েছে। মেয়েরা শুধু শুধুই ঘরের অন্ন ধ্বংস করে বলে মনে করে গ্রামীণ সমাজ। মেয়েদের পড়ালেখা শেখানো পাপের কাজ মনে করে তারা। পড়ালেখা শিখলে মেয়েরা অবাধ্য হয়ে যাবে এমন ধারণা এখনো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ধনবানরা নিজেদের কুসন্তান কিংবা প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিয়ে দেওয়ার জন্য খুঁজে বের করে গরিব ঘরের কোনো সুন্দরি মেয়েকে। অনেক ক্ষেত্রেই চাপিয়ে দেওয়া হয় তাদের ওপরে।