২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৯০, ঝিনাইদহে ৪ জনের মৃত্যু

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১, ০০:০০

ঝিনাইদহে বেড়েছে করোনায় আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪ জন। এর মধ্যে ঝিনাইদহে দুইজন ও মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন। শহরের আরাপপুর এলাকার চাঁদপাড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে শাহ আলম (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ক্যান্সার আক্রান্ত এক শিশু করোনায় মারা গেছে। হাসপাতালের ক্যাশিয়ার আব্দুস সালামসহ অন্তত ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেছে। তাদের প্রত্যেকের হাই ফ্লো অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। ঝিনাইদহ করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মানুষ নিয়মের মধ্যে না আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ভারতের মতো মৃত্যুর মিছিল শুরু হতে পারে। কিন্তু এত প্রচার প্রচারণার পরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। তিনি বলেন, শনিবার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটের শয্যা বাড়িয়ে প্রায় একশ’ করা হয়েছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, গতকাল সকালে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার ল্যাব থেকে ১শ’ ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। এদের মধ্যে ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৪ দশমিক ৮৭ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৩৯৬  জনে। ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৬ জনে। তবে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেয়া তথ্যমতে এ পর্যন্ত তারা করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ৮১ জনের লাশ দাফন করেছে। এর বাইরেও অনেকের পরিবার নিজ দায়িত্বে স্বজনদের লাশ দাফন করেছেন। এদিকে ঝিনাইদহ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। হাট-বাজার, দোকান-পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়াই কেনা-বেচা করছে ক্রেতারা। শহরে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও নির্দেশনা থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত। হাট-বাজারে গাদাগাদি করে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, ৫০ বেডের করোনা ওয়ার্ডে ৫১ জন রোগী ভর্তি আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় আরো ৫০ বেডের একটি নতুন করোনা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য ভিড় লেগেছে। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে নমুনা দিচ্ছেন। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল উদ্বোধন করা হলেও জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে জেলার মানুষ তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us