“জলে ভাসা পদ্ম আমি/ শুধুই পেলাম ছলনা” উপকূলের মানুষ ঠিক তেমনটাই প্রতি বছর বেড়িবাঁধ ভেঙে বানের জলে ভেসেছে, চোখের জলে ভেসেছে; আর শিকার হয়েছে ছলনার। দুর্যোগ পরবর্তী সাময়িক ত্রাণসামগ্রী পেলেও হয়নি স্থায়ী কোন সমাধান।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সিডর, আইলা, ফনী, আম্ফান ও ইয়াসের মত ঘূর্ণিঝড়ের জলোচ্ছ্বাসে বিপর্যস্ত উপকূলবাসী। আগের বছর গুলোর তুলনায় বেড়েছে সমুদ্রের উচ্চতা। মৌসুমি বর্ষায়, এমনকি জোয়ার ভাটায়ও নিয়মিত প্লাবিত হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে বেড়িবাঁধই উপকূলের একমাত্র রক্ষাকবচ। অথচ ষাটের দশকে নির্মিত বেড়িবাঁধ জোড়াতালি দিয়ে এতদিন চলে আসলেও বর্তমান পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। শক্তিশালী বেড়িবাঁধের অভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকে সব মৌসুমেই, বর্ষায় পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করে।