স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে বাংলাদেশকে এক তৃতীয়াংশ যুব জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর সাথে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে জেঁকে বসেছে করোনা ভাইরাস। করোনার ঢেউয়ে হাবুডুবু খাওয়া শিক্ষা কার্যক্রমে দিশেহারা চার কোটি শিক্ষার্থী। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম শঙ্কায় দেশের শিক্ষিত যুব সামজ।
একদিকে শিক্ষার্থীদের কোর্স সম্পন্ন হওয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা, শিক্ষকদের বিরাট অংশের কাজ হারানো আর কর্মসন্ধানী শিক্ষিত যুবকদের বেকারত্বের চাপ। এই চোরাবালি থেকে তাদেরকে টেনে তুলতে না পারলে তারা দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। গত বছর করোনার শুরুর দিকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ইন্টারন্টে প্যাক থেকে শুরু করে স্মার্টফোন-ল্যাপটপ পর্যন্ত কিনে দেয়ার ঘোষণা, সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট জমাসহ নানা তর্জন-গর্জন এবারের ঢেউয়ে কিছুটা ‘মিউ মিউ’ অবস্থায় পতিত হয়েছে। বেসরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে ৬৯.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দূরশিক্ষণ (অনলাইন) প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি।