মৌলি আর রাতুলের যখন প্রথম আলাপ হয় তখন ওরা স্কুলে পড়ে। দুজনেই স্কুল থেকে একটি ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় গিয়েছিল। সেখানেই প্রথম বন্ধুত্ব। যদিও দুজনের স্কুল ছিল আলাদা। স্কুল পেরিয়ে কলেজ। দুজনের বিষয় আলাদা। কলেজ আলাদা। তবুও বন্ধুত্বে কোনও রকম ছেদ পড়েনি। এই বন্ধুত্বই পরবর্তীতে প্রেমে উন্নীত হয়। আর যখন ওরা বুঝল একে অপরকে ভালোবাসে, দুজন দুজনকে ভালো বোঝে সেখান থেকেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তাই বলে যে ওদের মধ্যে ঝগড়া হয় না এমন কিন্তু নয়। মাঝেমধ্যে তো মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। একে অন্যকে ব্লক করে দেয়, ফোন ধরে না। কিন্তু আবার কদিন যেতে না যেতেই সব ঠিক হয়ে যায়। এছাড়াও একসঙ্গে সময় কাটানো, রান্না, লং ড্রাইভ, ট্রেকিং সবই চলত। একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া, ভুলবোঝাবুঝি এভাবেই ওরা বেড়ে উঠছিল। আসলে কখন কীভাবে ওরা প্রেমে পড়েছে নিজেরাও জানে না। না রূপকথার মতো প্রেম করা করে নি, কিন্তু বিয়েটা ওদের কাছে ছিল রূপকথা। এখনও ওরা দুজন দুজনের খুব ভালো বন্ধু। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়টা মাঝেমধ্যে ভুলেই যায়। আর ওদের দাম্পত্য জীবনের ছবি দেখে খুশি সকলেই। দিনের পর দিন বরং প্রেম বেড়েছে ওদের মধ্যে। বর্তমান সমীক্ষাও কিন্তু বলছে, সমবয়সী যুগলদের মধ্যে প্রেম স্থায়ী হয়। সেই সঙ্গে প্রেম জীবনও হয় সুখের।