পত্রিকায় দেখে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কীসের ছবি। এই ছেলেরা কি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেফতার হয়েছে? পুলিশ ভ্যানে তাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি। ছেলেগুলোর চেহারা সপ্রতিভ। কদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। এজন্যই কি পুলিশ এদের গ্রেফতার করল? এমন ভাবতে ভাবতে খবরে চোখ বুলিয়ে চমকে গেলাম। এরা এলএসডি সেবকচক্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর নিখোঁজ এবং মৃত্যুর সূত্র ধরে পুলিশ এলএসডির মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পায়। তরুণদের সর্বশেষ ক্রেজ এলএসডি। একটু পরে দেখলাম এলএসডি এমন একটা নেশা যা উদ্ধত করে, আত্মবিনাশী করে, আত্মহত্যাপ্রবণ করে একজন মানুষকে। হতাশা, বিষাদ থেকে রক্ষা পেতে এ নেশার চল হয়েছিল। এটি নেশা হিসেবে পুরনো হলেও বাংলাদেশে নতুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরনো নেশা হলেও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে এলএসডির ব্যাপক চল শুরু হয়েছে তরুণদের মধ্যে। এলএসডি খেয়ে তরুণরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য, বোধশক্তিহীন, আত্মবিনাশী হয়ে উঠছে। সেজন্য ছবিতে তাদের গ্লানি নেই, কুণ্ঠা নেই, অপরাধবোধ নেই, তারা লজ্জিত নয়।