আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যেও ‘আনকন্সাস বায়াস’, অর্থাৎ অবচেতন মনের পক্ষপাতিত্ব লুকিয়ে রয়েছে৷ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লন্ডা স্কিবিঞ্জার এমন কিছু উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘‘আমরা দেখলাম, যে ফেশিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি নারী এবং অপেক্ষাকৃত শ্যামবর্ণ ত্বকের ক্ষেত্রে কাজ করে না৷ এক কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে মুখচ্ছবি শনাক্ত করার গবেষণার স্বার্থে ক্যামেরার সামনে ফর্সা মুখের মুখোশ পরতে হয়েছিল৷
অর্থাৎ আমরা মোটেই সবার জন্য কার্যকর প্রযুক্তি সৃষ্টি করছি না৷’’ তবে তার মতে, গবেষণার ক্ষেত্রে এমন দুর্বলতা দূর করতে শুধু সমান সংখ্যক নারী ও পুরুষকে কাজে লাগালে চলবে না৷ ইউরোপীয় কমিশনও সেটা বুঝতে পেরেছে৷ তাই সাড়ে আট হাজার কোটি ইউরো অংকের তহবিলের নাগাল পেতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হচ্ছে৷ ‘হোরাইজন ইউরোপ প্রোগ্রাম’ এখন শুধু সেই সব মানুষকে গবেষণার জন্য অনুদান দিচ্ছে, যারা ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মতো সব পর্যায়ে জেন্ডার ও ইন্টারসেকশনালিটিকে গুরুত্ব দেন৷