একজন সাংবাদিক রোজিনার উপর যে নিপীড়ন চলছে, প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায় তা থেকে আমরা কিছু শিখব না। ওই যে ইতিহাসের সেই নির্মম সত্য, অতীত বা চলমান ঘটনা থেকে আমরা কিছু শিখি না। লেখার পরিধি বহু বিস্তৃত করব না। মূলত সংবাদ মাধ্যম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং রোজিনা ইসলামের এক-দেড় বছরের সাংবাদিকতার মধ্যে সীমিত থাকার চেষ্টা করব।
১. রোজিনা আসলে কী করেছেন? কিছু ভিডিও ফুটেজ থেকে ধারণা পাওয়া যায়। যে ভিডিও করা হয়েছে রোজিনাকে আটকে রাখার প্রথম পর্যায়ে। ভিডিও তারাই করেছেন যারা রোজিনাকে আটকে রেখেছিলেন। যা দেখে বোঝা যায়, ভিডিও ধারণের আগেই রোজিনার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আরও মোবাইল ফোন আছে কি না, তা সন্ধান করতে দেখা যায় অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুননেছাকে। তখন রোজিনার ব্যাগে কোনো কাগজ পাওয়া গেছে, এমন চিত্র দেখা যায়নি। তাদের কথাতেও বোঝা যায়নি। মোবাইলে ছবি তুলেছেন বলে সন্দেহ করছেন, সেটাই বোঝা গেছে।
২. আরেকটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেখা যায় অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুননেছা সাংবাদিক রোজিনার বুক-গলা চেপে ধরছেন। ভয়ার্ত রোজিনা কিছু একটা বলছেন, জেবুননেছা হুংকার দিয়ে বলছেন ‘অবশ্যই’।