ঈদের ছুটিতেও দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে করোনাকালেও থেমে নেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। গুরুতর অপরাধের ঘটনা বাড়ছে। সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি পারিবারিক অপরাধও বাড়ছে। কলের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরগুলো উদ্বেগজনক। গত মঙ্গলবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ছয় জেলায় এক অন্তঃসত্ত্বাসহ ছয়জনকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার এক গ্রামে নেশার টাকা না পেয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া সদরের শেখেরকোলা গ্রামে নিজ ঘরে গত মঙ্গলবার রাতে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। বগুড়া শহরতলির গোদারপাড়া এলাকায় একটি ড্রেন থেকে বুধবার দুপুরে এক তরুণের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বগুড়া শহরের মালতীনগর চানসারি ঘাট এলাকায় শুক্রবার রাতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যশোরের চৌগাছা উপজেলার দুর্গাবরকাটি গ্রামে নিজ ঘর থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের বিশ্বনাথপাড়া গ্রামে গত শনিবার ঝগড়াবিবাদের এক পর্যায়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নরসিংদীর রায়পুরায় এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় বিচার চাওয়ায় বখাটেদের হামলায় বাঁ চোখে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।