বাঙালি মুসলমানের কাছে ঈদের নানামুখী তাৎপর্য রয়েছে। ধনী-দরিদ্র সবার কাছেই ঈদ অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের প্রেরণাও রয়েছে ঈদ আনন্দের মধ্যে। তবে বিগত দেড় বছর ধরে করোনা ব্যবচ্ছেদ করে দিচ্ছে ঈদের আনন্দ। ঈদ এলে বাঙালির শেকড়ের টান বোঝা যায়। ঈদযাত্রায় হাজার দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে হলেও গ্রামে-মফস্বলে স্বজনদের কাছে ফিরে যাওয়া চাই। এক্ষেত্রে যেন কোনো আপস নেই। কখনো কখনো আমরা আত্মঘাতী হতেও দ্বিধা করি না।
এবার কভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করায় সরকারিভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে শহর না ছাড়ার জন্য। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপনের অনুরোধ রাখছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু কে শোনে কার কথা। লাখ লাখ মানুষ ছুটছে শেকড়ের দিকে। স্বাস্থ্যবিধিকে কোনোরকম তোয়াক্কা না করে। রমজানের এই শেষপ্রান্তে এসে ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দোকানপাট-শপিংমলে। করোনা ভীতি যাই থাক, প্রিয়জনদের জন্য ঈদ উপহার না কিনে ঈদকে মাটি করতে চান না এসব আমুদে বাঙালি মুসলমান। অবস্থা দেখে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হায় হায় করছেন। বাস্তব অবস্থায় দাঁড়িয়ে এখন ঈশ^রের কাছে দয়া ভিক্ষা করা ছাড়া কোনো পথ দেখছি না যেন আমরা। তবে আমরা এ বিশ^াস তো রাখতেই পারি যে, ভয়াবহতা সাময়িক ছন্দ্যোচ্ছেদ। আবা