আজ বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। এটি একটি মানবকল্যাণমূলক সংস্থা। এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনান্ট। ১৮২৮ সালের ৮ মে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন জিন হেনরি ডুনান্ট। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯৭ মিলিয়ন স্বেচ্ছাসেবী, সদস্য, কর্মীসহ পরিচালিত হচ্ছে। এই সংস্থা মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা, সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করা, মানুষের দুর্ভোগ প্রতিরোধ ও লাঘবের লক্ষ্যে পরিচালিত। কালান্তরে দিবসটির নাম পরিবর্তিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে তা বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস নামে পরিচিতি লাভ করে। জিন হেনরি ডুনান্টের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন গড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। বিশ্বের দেশে দেশে যুদ্ধ-দাঙ্গা-প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করেন এই সংস্থার সঙ্গে সংশ্নিষ্টরা। তাদের নিষ্ঠা ও অধ্যবসায় বিপন্ন মানুষকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র ও ব্যক্তি এই সংস্থাকে অর্থ সাহায্য করে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। প্রায় গোটা বিশ্বে করোনা দুর্যোগে আজ যে মানবেতর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা বর্ণনাতীত। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটি সাড়ম্বরে পালনে আনুষ্ঠানিকতায় ছেদ পড়লেও এর গুরুত্ব মূল্যায়নে কোনোভাবেই ঘাটতি নেই। শান্তিতে নোবেলজয়ী জিন হেনরি ডুনান্ট ১৮৫৯ সালে উত্তর ইতালির সলফেরিনো অঞ্চলে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে নৃশংসতম যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মানবকল্যাণ আর সেবার ব্রত নিয়ে ১৮৮৩ সালে তিনি রেড ক্রসের গোড়াপত্তন করেন। গ্রহণ করেন সংস্থাটির সেক্রেটারির দায়িত্ব। ১৯১০ সালে এই মানবতাবাদী মারা যান।