কোনো কিছুকে অভিন্ন বোঝাতে আমরা ‘মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ’ বাগধারা ব্যবহার করি। কিন্তু একজন মুদ্রা বিশেষজ্ঞ বলবেন এটি ভুল বয়ান। মুদ্রার দুটো পিঠই আলাদাভাবে মূল্যবান। নানা রকম তথ্যসূত্র ছড়িয়ে আছে দুই পিঠেই। যে কারণে ইংরেজি ঙনাবৎংব ও জবাবৎংব শব্দকে যারা যথাক্রমে মুদ্রার মুখ্যপিঠ ও গৌণপিঠ বলেন আমি তাদের সঙ্গে একমত নই। আসলে গৌণ বা কম মূল্যবান পিঠ কোনোটাই নয়। এ-সময়ের বাংলাদেশ যদি একটি মুদ্রা হয়ে থাকে তবে এর সামনের পিঠটি বেশ ঝকঝকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখে মনে হবে দেশ অনেকটা এগিয়েছে। কিন্তু উল্টো পিঠটি যেন সত্যিসত্যিই গৌণ হয়ে যাচ্ছে। ক্রমে রাহুর অপচ্ছায়া পেছনের পিঠে জেঁকে বসেছে। দ্রুত গ্রাস করছে। এই গ্রাস থেকে মুক্ত হতে পারছে না দেশ নামের মুদ্রাটি। গ্রাস অব্যাহত থাকলে সামনের চকচকে পিঠেরও কিন্তু রেহাই নেই।