করোনার সংক্রমণ রোধের অন্যতম উপায় হলো সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। কাউকে ছোঁয়া বা স্পর্শ করার তো প্রশ্নই ওঠে না। সে জন্যই বিউটি পারলারের ব্যবসায় ধস নেমেছে। কারণ, গ্রাহকের শরীরে স্পর্শ না করে তো কাজ করতে পারেন না বিউটি পারলারের কর্মীরা। এর উল্টোও বলা যায়, করোনার ভয়ে নারীরা এখন আর বিউটি পারলারে যান না। দুটো কথার একটাই পরিণতি, পারলারের কর্মীদের কোনো আয়-রোজগার নেই। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। একইভাবে বিউটি পারলারের মালিকেরা লাখ লাখ টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করেও বেশ বিপাকে রয়েছেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে বিভাগীয় কিংবা জেলা শহরই নয় শুধু, উপজেলা কিংবা মফস্বল শহরগুলোতে গড়ে ওঠা বিউটি পারলারগুলোও এক বছরের বেশি সময় ধরে কার্যত বন্ধ রয়েছে। বিউটি পারলারে কর্মরত নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির বিষয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান উজ্জ্বলার এক জরিপে বলা হয়েছে, গত বছর করোনা আঘাত হানার ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের বিউটি পারলার খাতে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী কাজ হারিয়েছেন।