করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের যৌক্তিকতা রয়েছে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জীবন বাঁচানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা প্রয়োজন। তবে সন্দেহ নেই যে, এই লকডাউনের ফলে আমাদের শ্রমবাজার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে-বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় এবং কর্মসংস্থানের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের লকডাউন/সাধারণ ছুটির কারণে মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সে পরিস্থিতিতে বিভিন্ন উপায়ে যেমন ধার করে কিংবা সঞ্চয় ভাঙ্গিয়ে মানুষ টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করাটা, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মনে রাখা দরকার যে, বেকারত্ব, তরুণ নিইইট [NEET (Not in Employment Education or Training)] (যারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান কিংবা প্রশিক্ষণমূলক কাজ- কোনকিছুতেই নিয়োজিত নেই), শ্রমবাজারের চাহিদা আর জোগানের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা, কাজের গুণগত মান ও শোভন কাজের অভাব ইত্যাদি চ্যালেঞ্জগুলো কোভিড সংক্রমণের আগেই আমাদের শ্রমবাজারে বিদ্যমান ছিল, কোভিড-১৯ এসব চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও ঘনীভূত করেছে।