করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যু মোকাবিলায় সরকারের দেওয়া লকডাউন চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে কায়দায় সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে আমাদের মতো জনবহুল দেশে ওই ধরনের লকডাউন হয়তো সম্ভব নয়। উপরন্তু উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের জনগণ তত সচেতনও নয়। এটা সত্য যে, করোনা মোকাবিলায় আমরা প্রো-অ্যাকটিভ সিদ্ধান্ত না নিয়ে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পেছনে পেছনে ছুটছি। জীবন-জীবিকা দুটো রক্ষার জন্য বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত পদক্ষেপ না নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য। যে দেশে এখনও এক-পঞ্চমাংশ (২১ শতাংশ) মানুষ দারিদ্র্যসীমার (করোনার কারণে বর্তমানে এ হার দ্বিগুণ হয়েছে) নিচে বসবাস করে, সেখানে জীবন-জীবিকার ভারসাম্য রক্ষা করা শুধু কঠিন নয়; অত্যন্ত দুরূহ বটে। লকডাউনের ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের পথ বন্ধ হলে কী হবে, সে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া খুবই জরুরি। তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা না করে আরোপিত বিধিনিষেধ যথাযথভাবে কার্যকর করা অসম্ভব। ক্ষুদ্র আয়ের মানুষ ও শ্রমজীবী মানুষ ইতোমধ্যে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।