গালির প্রতি বাঙালির প্রীতি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। গালি বাংলা শব্দভান্ডারে বিশেষ করে মৌখিক শব্দসম্ভারে পাকাপোক্তভাবে জায়গা করে নিয়েছে। অশিক্ষিত কিংবা সমাজের নিম্নস্তরে বাসকারীরাই যে শুধু গালি দেন, তা কিন্তু নয়। শিক্ষিত এবং সমাজে কুলীন হিসেবে পরিচিতরাও হরহামেশা গালি দেন। এমনকি গুণী সাহিত্যিকদের হাত ধরে বাংলা সাহিত্যেও স্থান করে নিয়েছে গালি।
সাধারণভাবে বলা যায়, কাউকে মৌখিকভাবে আক্রমণের চরম অস্ত্র হিসেবে আমরা যে অশ্লীল শব্দগুলো প্রয়োগ করি, সেগুলোই গালি। অশ্লীলতার সংজ্ঞা এবং মাত্রা নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে মতভেদ থাকলেও গালি ব্যবহারের পেছনে শত্রুপক্ষকে বাক্যবাণে জর্জরিত করার বিষয়ে কারোরই দ্বিমত নেই। গালির আরেকটি প্রয়োগও রয়েছে। আদর, আশকারা কিংবা ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতেও গালি দেওয়া হয়। গালির তীব্রতা কিংবা মিষ্টতা পরিস্থিতি ও প্রয়োগের ওপর নির্ভরশীল। তারপরও বলতে দ্বিধা নেই, অধিকাংশ গালির অর্থ এবং প্রয়োগের সঙ্গে নারীর অধস্তন সামাজিক অবস্থানের রাজনীতি জড়িত।