চুড়িহাট্টায় ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে রাসায়নিকের গুদাম থেকে আগুন লেগে ৭৩ জনের প্রাণহানির পর ঢাকা দক্ষিণ সিটির তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন বলেছিলেন, ১ মাসের মধ্যে পুরান ঢাকা থেকে সব ধরনের কেমিক্যাল গোডাউন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কারখানা সরিয়ে নেয়া হবে। চালানো হবে অভিযান। তারপর পার হয়ে গেছে ২ বছর কিন্তু রাসায়নিকের গুদামও সরেনি আর অভিযানেরও কোন দেখা নেই।
এর আগে ২০১০ সালে নিমতলীতে আগুনে ১২৪ জনের প্রাণহানির পর পরই পুরান ঢাকা থেকে সব ধরনের কেমিক্যাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গোডাউন ও কারখানা সরিয়ে নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালে ফের চকবাজারে একই ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনার পর সেই দাবি আবার সামনে আসে। গতকাল আরমানিটোলা কেমিক্যাল মার্কেটে আগুনে ৪ জনের প্রাণহানীর পর সেই প্রশ্ন আবারও সামনে এসেছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, একের পর এক ঘটনা ঘটে। কিছুদিন হৈচৈ। কমিটি গঠন হয়। সুপারিশ করা হয়। কিন্তু আলোর মুখ দেখে না। এরপর সবকিছু পুরোনো রূপেই চলে। পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনের আগুনের ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস প্রশ্ন তুলেছেন এতো নজরদারির মধ্যে কীভাবে অবৈধ রাসায়নিক দ্রব্যাদি মজুদ ও অবৈধ ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে আমরা কিন্তু সম্পূর্ণরূপে কার্যক্রম পরিচালনার ট্রেড লাইসেন্স বন্ধ করে দিই। এ কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ব্যাপক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা আটুট থাকি।’