শুকিয়ে গেছে পদ্মার শাখা নদ বড়াল। এই নদের বুক চিরে চলে গেছে ছোট্ট একটি খাল। সেই খালের পানি দিয়ে বেশিরভাগ অংশজুড়ে চাষ হয়েছে বোরো ধানের। স্লুইস গেট দিয়ে পানির প্রবাহ কমিয়ে ফেলা এবং নাব্যতা কমে আসায় নদটির এখন করুণ দশা। দীর্ঘ দিন ধরেই ড্রেজিং করে এই নদে আবারও প্রাণ ফেরানোর দাবি জানাচ্ছেন পরিবেশবাদীরা। কিন্তু লাভ হয়নি।
পদ্মা থেকে বড়াল নদের উৎপত্তি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়। এরপর নদটি রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের বাগাতিপাড়া ও বড়াইগ্রাম; পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ি হয়ে হুরাসাগরের বুকে মিশেছে। হুরাসাগর মিশেছে যমুনার সাথে। বড়ালের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৯ কিলোমিটার। এক সময় সারাবছর যোগাযোগের জন্য নৌপথটি ব্যবহার হতো। এখন সবই স্মৃতি। ভরা মৌসুমের দুই মাস নদে নৌযান চলতে পারে। তারপর আবার শুকিয়ে যায়। শুরু হয় ফসলের আবাদ। নদের বুকে এখন রয়েছে বোরো ধান।