জুন-জুলাই পর্যন্ত ভ্যাকসিন রপ্তানি অনিশ্চিত: সেরামের সিইও

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২১, ১৩:১৯

আগামী জুন-জুলাইয়ের আগে ভ্যাকসিন রপ্তানির বিষয়ে ‘কোনো নিশ্চয়তা নেই’ বলে গতকাল বুধবার জানান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা। ফলে দেশে চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।


গতকাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘আপাতত ভ্যাকসিন রপ্তানির বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস দু-একের মতো আমাদের ভ্যাকসিন রপ্তানির দিকে নজর দেওয়া ঠিক হবে না। আশা করি জুন-জুলাই থেকে আবারও কিছু কিছু করে রপ্তানি শুরু করতে পারব। এই মুহূর্তে আমরা দেশের চাহিদাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’


বাংলাদেশে মজুত থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের এক কোটি দুই লাখ ডোজের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৭৫ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৯ ডোজ দেওয়া হয়েছে।


গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ ভ্যাকসিন রয়েছে, তাতে আর ১৫ দিনের মতো এই টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা যাবে।


যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা আনার উদ্যোগ


ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় এখন দ্রুত নতুন উৎস খুঁজছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা আমদানির উদ্যোগ বাড়তি জোর পেয়েছে।


টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত একটি কমিটি বুধবার (২১ এপ্রিল) বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি ও চায়না সিনোফার্ম ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের টিকা আমদানির প্রস্তুতি হিসেবে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছে। টিকার বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া প্রস্তাব পরীক্ষা করে কার্যকারিতা ও দামের বিষয়ে মতামতসহ সুপারিশ করতে ১৯ এপ্রিল এই কোর কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। আট সদস্যের কমিটির প্রধান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।


করোনা ভাইরাস টিকা: ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশের জোর কূটনৈতিক চেষ্টা


বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, ভারতে কোভিড ভ্যাকসিন রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা সত্বেও সেখান থেকে টিকা আনার জন্য জোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ জন্য ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে গেছেন।


এদিকে, সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য প্রয়োজনীয় ডোজের চেয়ে ১২ লাখ ডোজ ঘাটতি রয়েছে। সরবরাহে অনিশ্চয়তার কারণে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া অব্যাহত রাখা হলেও এর হার কমে এসেছে।


চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা ছিল। কিন্তু গত দুই মাসে কোন চালান আসেনি। কবে নাগাদ টিকার চালান আসতে পারে, তা কেউ বলতে পারছে না।


করোনার ভ্যাকসিন না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ পড়েছে বড় সংকটে


করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশ থেকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে করোনার ভ্যাকসিন না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ পড়েছে বড় সংকটে। এই অবস্থায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক উদ্যোগেও তেমন কোন ফললাভ হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন আড়াই লাখের মতো ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে বাংলাদেশে মজুদ বা স্টক আছে ত্রিশ লাখ ডোজেরও কম। এই অবস্থায় বিদ্যমান মজুদে সর্বোচ্চ ১০/১২ দিন দেশে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব। এই স্বল্প সময়ে ভ্যাকসিন আনাসহ আনুসঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা কতটুকু সম্ভব তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। ঢাকায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই মুহূর্তে আরো ৩ কোটি ডোজ এবং দীর্ঘ মেয়াদে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশের প্রয়োজন। ভারতের সেরাম ইন্সস্টিটিউটের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ আস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা চললেও ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে তা আদৌ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us