আকাশে হঠাৎ প্লেন দেখে যুবকটা চঞ্চল হয়ে উঠল। ‘ওই দ্যাখ, আবার বিদ্যাশ যাওয়া হইতেছে, আমার ডেট আইবো না?’ যাকে দেখাতে এটা বলা, সে হাসতে হাসতে বন্ধুর পিঠে চাপড় দেয়। বলে, ‘এইবার তোর ডেট পড়বো, দেখিস।’ প্রথম যুবকটা কিছু না বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। নদীর বাতাসে উড়ে যায় মানুষের প্রশ্বাস।
গত বন্যায় যে জায়গাটায় ছিল পাড়ছোঁয়া পানি, এই বৈশাখে সেখানে সুনসান শান্ত নদী। খাড়া পাড় থেকে যে সেতুটা কিছুটা উঠে মুখ থুবড়ে পানিতে পড়েছে, সেই জায়গাটার নাম খাড়াকান্দি। বিকেলের আলোয় ভাঙা সেতুটায় চুপচাপ বসে ছিল দুই বন্ধু। দুজনই যুবক। পাশেই কয়েকটি শিশু পলিথিনে বানানো ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। ওদের মধ্যে যার নাম আবদুল্লাহ, তার ঘুড়িটা বারবার গোত্তা খেয়ে পড়ছিল। বন্ধুরা হাসাহাসি করে বলছিল, আবদুল্লাহ ঘুড়ি ওড়াতে পারে না।