ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে প্রথম। তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বিশে^ বাংলাদেশের অবস্থান ৩য়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে ৪র্থ এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম। এটা জাতির জন্য এক বিশাল গৌরব ও অহংকারের বিষয়। বাংলাদেশ মাছ চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে মাছ থেকে প্রাণিজ আমিষের স্বাদ ভোগ করছে। হচ্ছে মেধার বিকাশ। বাড়ছে গড় আয়ু। গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মাছ চাষের রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) মৎস্য সম্পদের অবদান ৪ শতাংশ। দেশের প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ লোকের জীবন-জীবিকা কোনো না কোনোভাবে মৎস্য চাষ এবং মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ১৪ লাখ নারী মৎস্য খাতের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত।
দেশের যে ক’টি জেলায় সবচেয়ে বেশি মাছ উৎপাদিত হয় তার মধ্যে ময়মনসিংহ অন্যতম। দেশের মোট মাছ উৎপাদনের ১১ ভাগ উৎপাদন হয় ময়মনসিংহ জেলায়। আর মোট উৎপাদিত পাঙ্গাশের শতকরা ৫০ ভাগ আসে ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে। ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলায় অসংখ্য মৎস্য খামার গড়ে উঠলেও ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া, মুক্তাগাছা, ফুলপুর, গৌরীপুর, গফরগাঁও ও ভালুকাতেই মাছের খামারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ময়মনসিংহ জেলায় সাড়ে চার লাখ টন মাছ উৎপাদন হয়, যা জেলার চাহিদার চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি। জেলায় মাছের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। আর পাঙ্গাশ যাচ্ছে বিদেশে।