পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ফুরফুরা দরবার শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে বর্তমানে তিনি সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি। সব পরিচয় ছাপিয়ে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে ভাইজান নামেই সমধিক পরিচিত হয়ে উঠেছেন। জাতপাত-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি ‘ভাইজান’ বলেই পরিচিত। ভাইজান আব্বাস সিদ্দীকী একজন ধর্মীয় নেতা থেকে হয়ে উঠেছেন বহুজনবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার এই উত্থান কেবল ভারত নয় গোটা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতেই নতুন এক বার্তা দিচ্ছে। রাজনীতির গতানুগতিক সমীকরণ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। গত ২১ জানুয়ারি গঠন করেন ‘ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট’ (আইএসএফ) নামে একটি রাজনৈতিক দল।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে নবগঠিত আইএসএফ বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে মোর্চা তৈরি করেছেন এবং নির্বাচনের ৩২টি আসন সমঝোতা করে নিয়েছেন। বলে রাখা ভালো যে, আইএসএফ কোনো একক দল নয়। এটি একটি ফ্রন্ট। যেখানে আদিবাসী, দলিত, মতুয়া, হিন্দু, মুসলিম ও নিম্নবর্গের সব ধর্মের মানুষ যুক্ত হয়েছে। আইএসএফের সঙ্গে বামপন্থিদের কোনো জোট হয়নি। ভোট ভাগ হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে নির্বাচন উপলক্ষে আসন সমঝোতা হয়েছে। এত সবকিছুর পেছনে রয়েছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেডের ‘শান’ হিসেবে উল্লেখ করছে আব্বাস সিদ্দিকীকে। ব্রিগেডের জমায়াতের বড় একটা অংশ ছিল আইএসএফ কর্মী-সমর্থক। ব্রিগেড মঞ্চে প্রদত্ত তার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠে আগামী দিনে আব্বাস সিদ্দিকীর রাজনৈতিক দিক ও গতি কেমন হতে পারে এবং তিনি কী হতে চাইছেন।