শরণখোলা থেকে এক নিরুপায় মুক্তিযোদ্ধা অনেক রাতে ফোন করে জানালেন, পানির জন্য এমন হাহাকার তিনি আগে কখনো দেখেননি। তিনি বলছিলেন, তাঁদের এত কষ্ট, তারপরও আমরা কেন তাঁদের নিয়ে লিখি না। লিখলে কি পানীয় জলের অভাব দূর হবে? কেউ কি পড়বেন? পানির কষ্টের কথা পড়ার জন্য, লেখা ছাপার জন্য কর্তারা কেন অপেক্ষা করেন? জানি, এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। তারপরও জানতে মন চায়।
বাগেরহাটের শরণখোলায় টিউবওয়েল চলে না। মাটির নিচেও লবণজল। হয় আকাশের জল, না হয় পুকুরের পানি—এই ব্যবস্থা সেখানে চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। পুকুরের পানি হাতকলের মাধ্যমে উঠিয়ে ইট-বালুর ট্যাংকে রেখে পানি নিরাপদ করা হয়। এটাকে ছেলেমেয়ে-প্রবীণ সবাই বলে, পিএসএফ (পন্ড স্যানড ফিল্টার)।
নিরাপদ পানীয় জল সংগ্রহের জনপ্রিয় আর সাশ্রয়ী এই ব্যবস্থা আমাদের উপকূলের প্রায় সব জেলা-উপজেলায় আছে। তবে ব্যবস্থাপনার কারণে অধিকাংশই অকেজো থাকে সারা বছর। তবে এ বছরের হিসাব অন্য রকম—বৃষ্টি একেবারেই নেই, তাই পুকুরে পানি নেই। ফলে পিএসএফগুলো চলছে না। গত বছরের মার্চ মাসে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।