শেষ পর্যন্ত যখন বলিলেনই, এত বিলম্বে বলিলেন কেন? কুম্ভমেলা প্রসঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রশ্নটি করা সচেতন নাগরিকের কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রী সন্ন্যাসী ও অন্য ভক্তদের নিকট ‘অনুরোধ’ করিয়াছেন, তাঁহারা যেন হরিদ্বারের কুম্ভকে প্রতীকী রূপে উদ্যাপন করেন। তাঁহার অনুরোধে কাজও হইয়াছে— দুইটি আখড়া ব্যতীত আর সকলেই মেলা ফুরাইবার পূর্বেই হরিদ্বার ত্যাগ করিতেছেন, বা করিতে প্রস্তুত। অর্থাৎ, দেশবাসীর উপর, অন্তত যাঁহারা কুম্ভমেলায় যান তাঁহাদের উপর প্রধানমন্ত্রীর প্রভাব আছে। প্রধানমন্ত্রী ও বোধ করি তাহা জানেন। তাহা হইলে তিনি এত দিন অপেক্ষা করিলেন কেন? কুম্ভমেলা ভারতের সর্ববৃহৎ ‘সুপারস্প্রেডার’ হইয়া উঠিতে পারে, এই সম্ভাবনাটিকে বহু পূর্বেই বিনষ্ট করা যাইত, যদি প্রধানমন্ত্রী মেলা শুরু হইবার পূর্বেই এই কথাটি বলিতেন। এমন নহে যে, মার্চ মাসের প্রথমার্ধে যখন হরিদ্বারে মেলার সূচনা হইতেছিল, অথবা তাহারও পূর্বে যখন এই মেলার পরিকল্পনা হইতেছিল, তখন কোভিড-এর বিপদের কথা জানা ছিল না।