অনেককেই মেরে ফেলছে করোনা ভাইরাস। আরও কতজনকে যে মারবে আমরা জানি না। কিন্তু সংক্রমণের বিস্তার ঘটতে কি যে করা যায় সে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কেউ বলছেন এমন কোমল, ঢিলেঢালা এক সপ্তাহের লকডাউনে কিছু হবে না, কঠোর লকডাউন লাগবে দুই থেকে তিন সপ্তাহের। আবার অনেকে একেবারেই লকডাউন বিরোধী। একথা মানতেই হবে যে, করোনা ভাইরাসের সাথে যে আমাদের বড় লড়াইটা করতে হয় অর্থনৈতিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে সেটা একটা বড় ভাবনার জায়গা।
গত বছর যখন করোনা এল, তখন অর্থনীতির অবস্থা বেশ ভাল ছিল। কিন্তু ভাইরাসের জেরে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি এবং এর প্রভাবে আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা মোকাবেলা করতে হয়েছে। সেটা থেকে বেরিয়ে আসার প্রত্যয়ে যেই না আবার শুরু হল অর্থনীতি পুনঃরুদ্ধারের কাজ, তখন এবার আবার আঘাত হানল করোনা ভাইরাসের আরও এক আগ্রাসী রূপ। ফলে আবারও শিল্প-কারখানায় উৎপাদন সংকটের আভাস, আবারও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা এবং আবারও বেকারত্ব বাড়ার শঙ্কা। রোজগার বন্ধ হওয়ায় মানুষের হাতে টাকা আরো কমে যাবে এবার৷