“টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্মের আগেই আমি কিন্তু টি টোয়েন্টি ব্যাটিং করেছি”- বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমন কথা মানায় শুধু একজনের মুখেই। ব্যক্তিটি মোহাম্মদ রফিক।
রফিকের ব্যাটে ভর করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম জয়ের অবিস্মরণীয় স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতের হায়দরাবাদে তিন দেশীয় সিরিজে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংস গোড়াপত্তন করতে নেমে মাত্র ৮৭ বলের ইনিংসে ৭৭ রান করে ম্যাচ সর্বোচ্চ ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রফিক। বলা বাহুল্য, ম্যাচ সেরার দৌড়ে তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী-ই ছিল না। ওই ম্যাচে বল হাতেও সেরা পারফরমার ছিলেন রফিক। নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
দেশকে শুধু প্রথম জয়ই এনে দেননি, ওই সময় ক্রিকেটের নতুন দর্শন ‘পিঞ্চ হিটিং’য়ের সার্থক রূপকারও ছিলেন রফিক। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র ছিলেন এই বাঁহাতি। সেই সঙ্গে ব্যাটিংয়েও তিনি হরহামেশাই মেটাতেন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট তখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। কিউই ওপেনার মার্ক গ্রেটব্যাচ নামের এক ভদ্রলোকের কল্যাণে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ঘটে গেছে বিপ্লব। ১৯৯২ এর বিশ্বকাপে ক্লোজ ফিল্ডিংয়ের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বলগুলোকে ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে খেলতে লাগলেন গ্রেটব্যাচ। বদলে গেল ওয়ানডে ক্রিকেটের দর্শন। পরবর্তীতে এ ‘পিঞ্চ হিটিং’ ব্যাটিংকে আবশ্যকীয় অনুসরণীয় করে ছাড়লেন দুই লঙ্কান বিস্ফোরক ওপেনার সনাথ জয়াসুরিয়া ও রুমেশ কালুভিতরানা। ক্রিকেটের এমন একটা সময়ে দেশের মুল স্ট্রাইক বোলার রফিকের মারাকাটারি ব্যাটিং হয়ে উঠল বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘পিঞ্চ হিটিং’ এর বিজ্ঞাপন।