ভারতের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতই রাষ্ট্রীয় সেনারা মাওবাদীদের মারে। খুব নির্মম ধাঁচের সেসব অভিযানের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয় সামান্যই। কে মাওবাদী আর কে জঙ্গল এলাকার বিক্ষুব্ধ গরিব মানুষ, সেসব তদন্ত করে দেখতেও তেমন আগ্রহী নয় কেউ আর। পণ্য হিসেবে জাতীয়তাবাদের সঙ্গে এসব চলে না এখন। তবে রাষ্ট্রীয় সেনারা বড় সংখ্যায় মারা গেলে হইচই পড়ে।
পাকিস্তান বা চীনের হাতে একজন সৈনিক খোয়ালে ভারতজুড়ে প্রতিশোধের উন্মাদনা দেখা দেয়। ছত্তিশগড়ে ২২ জন জওয়ান হারানোর বিষয়টি অবশ্য দেশটির মিডিয়া কাভার করেছে নিচু স্বরে, শরমিন্দাভাবে। রাজনীতিবিদেরাও এই ‘দুঃখজনক’ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেই থেমে গেছেন।
বিপুল সামরিক সামর্থ্য নিয়ে বছরের পর বছর দরিদ্র এলাকার সশস্ত্র প্রতিবাদীদের খুঁজে খুঁজে নির্মূলের পরও ‘মাওবাদ সমস্যা’র কেন অবসান হচ্ছে না, সে বিষয় খতিয়ে দেখতে আগ্রহ নেই ভারতে প্রায় কারওরই। কারণ, ওই রকম অনুসন্ধানের ফল অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলকভাবে এগিয়ে থাকা ভারতের জন্য অতি বিব্রতকর। রাজনীতিবিদেরা সেই দায় নিতে চান না।