ঢাকার হাতিরঝিল থানার পুলিশ ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়ায় তামজিদ হোসেন নামের এক যুবকের জীবন রক্ষা পেয়েছে। এ জন্য অবশ্যই তারা ধন্যবাদ পেতে পারে। অন্যদিকে গাইবান্ধা সদর থানার পুলিশের কর্তব্যে অবহেলার কারণে হাসান আলী নামের এক ব্যবসায়ীকে জীবন দিতে হয়েছে। এর দায়ও তাঁরা এড়াতে পারেন না।
পত্রিকার খবর ও পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথম ঘটনায় এলিট ফোর্স হিসেবে পরিচিত র্যাব সদস্যরা ব্যবসায়ী তামজিদকে অপহরণ করে তাঁর কাছে দুই কোটি টাকা উৎকোচ দাবি করেন। র্যাব সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন এবং সিদ্ধান্ত হয় যে তাঁর বোনের মাধ্যমে যমুনা ফিউচার পার্কে ১২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এরপর তামজিদের বোন বিষয়টি হাতিরঝিল থানায় জানালে তারা ঘটনাস্থল থেকে চার র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। রানু বেগম নামের যে নারী অপহরণ নাটকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন, পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে। তিনি তৈরি পোশাকের স্টক লট কম দামে দেওয়ার কথা বলে তামজিদকে ফাঁদে ফেলেন।