সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রমণশীল দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট (B.1.351 অথবা N501Y.V2) এর সাম্প্রতিক উত্থানের প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের মিডিয়ায় করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অকার্যকারিতা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এই সমালোচনা যৌক্তিক অবশ্যই।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত দুনিয়া তোলপাড় করা দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট [B.1.351 (N501Y.V2)] এর বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অকার্যকারিতার দাবি জানানো গবেষণাটি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র স্যাম্পল সাইজই নয়, বয়স ও বর্ণের ভিত্তিতে তা প্রতিনিধিত্বমূলক নয়। এই গবেষণায় ২,০২৬ জন এইচআইভি নেগেটিভ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করে যার মধ্যে ১,৭৪৯ জনকে শেষ পর্যন্ত ফলোআপ করা হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক স্যাম্পল খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ, একটি গবেষণা তখনই বৈজ্ঞানিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় যখন তা এক বা একাধিক জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন শ্রেণি-বর্ণ-লিঙ্গভিত্তিক সমতামূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।