বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি বিনিয়োগ নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করে এর ওপর মতামত দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত মতামত পাওয়ার পর অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। খসড়া অনুযায়ী, কেবল রফতানিকারকরাই বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে এবং বিনিয়োগ-পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের রফতানি মূল্যের ২৫ শতাংশ বিনিয়োগ করা যাবে। তবে উদ্যোক্তা যদি ঋণখেলাপি বা করখেলাপি হন, তাহলে এ সুবিধা পাবেন না। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিচালনা, অর্থায়ন এবং বিনিয়োগে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদ না থাকলেও বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে না।
এছাড়া খসড়ায় বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদনপ্রাপ্তদের বিনিয়োগ-পরবর্তী সব ধরনের প্রাপ্য যেমন লভ্যাংশ, বেতন, রয়্যালটি, কারিগরি ফি, পরামর্শক ফি ও কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে দেশে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদেশে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরির বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। বস্তুত সেই সভার সিদ্ধান্তের আলোকেই নীতিমালার খসড়াটি প্রণয়ন করা হয়েছে।