স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম বলতে যাদের বোঝায়, তারা ত্রিধাবিভক্ত। প্রথম যারা দেশ স্বাধীন করেছে, মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছে, তারা মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুই নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন ৭ মার্চের ভাষণে- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
এ ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য কী ছিল, তা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছিলেন। লক্ষ্য ছিল শোষণমুক্ত একটা গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যান। ধ্বংসস্তূপের ওপর গড়ে তোলেন সোনার বাংলার কাঠামো। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শত্রুরা তাঁকে সেই সময় দেয়নি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা পাকিস্তানি ধারায় দেশ পরিচালনা করে। প্রতিবিপ্লবের নায়ক মোশতাককে বলা হলেও প্রকৃত নায়ক জেনারেল জিয়া।