‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে গেছেন কারাগারে। অন্যদিকে গাজীপুরে তার মাদ্রাসাটিতে তালা ঝুলছে।
মাদানীকে গত বুধবার নেত্রকোনায় তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার তাকে গাজীপুরের গাছা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, মাদানীকে পুলিশে দিল র্যাব
‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে র্যাব।
বুধবার সকালে তাকে নেত্রকোনায় তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাতে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে র্যবের মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন।
দুই বছর আগেই গোপনে বিয়ে করেছেন রফিকুল ইসলাম মাদানী!
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) তিনি ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের ফুলপুরের রহিমগঞ্জে কনে দেখতে গিয়েছিলেন রফিকুল। কনের নাম আসমা আক্তার। তবে পাত্রীর বাবা-মা’র পছন্দ হয়নি রফিকুলকে। তবে পিলে চমকে উঠা তথ্য হলো, মাওলানা রফিকুল গত ২০১৯ সালের শেষের দিকে হালুয়াঘাটের সেই পাত্রী আসমা আক্তারকেই গোপনে বিয়ে করে ফেলেছেন।
নেত্রকোনা থেকে ‘শিশুবক্তা’ মাদানী আটক
এবার রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনা থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ বুধবার নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।’
রফিকুল ইসলাম মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি
আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজত ইসলাম নেত্রকোনা জেলা শাখা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নেত্রকোনা প্রেসক্লাব ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়।