প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করা হয়েছে বটে, কিন্তু ইনিয়ে-বিনিয়ে কৃতিত্ব দেয়া হয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো ও ক্ষুদ্রঋণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এখানেও একটি সন্দেহের উদ্রেক হয়, এনজিওদের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা দেশের মোট উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের শতকরা ১০ ভাগ বা এর চেয়ে কিছুটা কম হলেও এদের ভূমিকা কেন বড় করে দেখানো হয়? নিশ্চয়ই শুধু সরকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিতেই, না হলে যারা এই জাতীয় ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন, তাদের পরিচয় কী? এই খাতের মানুষদের সরব উপস্থিতি দেখা যায় যখন ওয়ান-ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি হয় বা যখন আওয়ামী লীগ সরকারে থাকে। আমাদের উন্নয়ন ইতিহাসটা যদি ঠিকঠাকমতো লেখা হতো, তাহলে আমরা ‘ডকুমেন্টেড’ দেখতে পেতাম যে এদের বিকাশ হয়েছে সব স্বৈরাচারের আমলেই। ফলে উদ্দেশ্য কী ছিল, তারও একটা বিশ্লেষণ আমরা সে ইতিহাসে পেয়ে যেতাম। কিছু সাময়িক কর্মসংস্থান সৃষ্টি আর স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কিছু উদ্ভাবন ছাড়া বৈদেশিক অর্থপুষ্ট বেশিভাগ এনজিওর পরিণতি হয়েছে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের।