যেকোনো জ্ঞানভিত্তিক সমাজে জ্ঞানের বিকাশ ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সারস্বত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয়। এসব প্রতিষ্ঠান দেশের সংস্কৃতিধারা তথা জ্ঞান বিকাশের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যায়। দেশের জনগণের ভাবধারা তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের চিন্তাধারাকে নানাভাবে সমৃদ্ধির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। এভাবে গড়ে ওঠে জাতীয় সংস্কৃতি। এই জাতীয় ভাবধারায় দেশ ও সমাজ এগিয়ে চলে। এই চেতনাধারা বিকাশের মূল কারিগর কবি-সাহিত্যিক-চিন্তকদের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সম্ভবত এ উদ্দেশ্য থেকেই পুরস্কার প্রথার উদ্ভব। বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ, মননশীলতা ও জাতিসত্তার প্রতীক বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পর থেকে আজ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত রেখেছে। ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক একটি পুরস্কার।
বাংলা একাডেমি আইনের ৬ (সি) ধারায় সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের বিধান ছিল। সেখানে অবশ্য পদক, খেতাব, পুরস্কার, পারিতোষিক, সম্মানী দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। একাডেমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পুরস্কার প্রদানের কথা ভাবলেও অর্থ সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রথম প্রদান করে ১৯৬০ সালে।