বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কবিতাটি মনে এল। কবিতার এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘দাসত্ব শৃঙ্খল বলো কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?’ কবি রঙ্গলাল তাঁর কবিতায় মানব জীবনের একটি গভীর আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করেন। সম্ভবত স্বাধীনতার এ আকাঙ্ক্ষা মানুষের সহজাত। প্রভাবশালী দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট তাঁর বিখ্যাত থিওরি অব হিউম্যান নেইচার-এ বলেন, কর্ম সম্পাদনের জন্য দরকার বাইরের সবকিছু থেকে মুক্ত হওয়া।
একটা দেশের জনগণ যখন অন্য দেশ দ্বারা শাসিত হয় অর্থাৎ তাঁদের ভৌগোলিক স্বাধীনতা যখন খর্ব হয়, তখন সেই দেশ তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে আক্রমণ করে, দাবিয়ে রাখে। কারণ, দীর্ঘ মেয়াদে ভৌগোলিক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য ভাষা ও সংস্কৃতিকে দাবিয়ে রাখার দরকার হয়। বাংলাদেশ যখন তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনে ছিল, তখন তারা একই কাজ করেছিল। ২২ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।